Thursday , 28 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ডোবা থেকে উদ্ধার মস্তকবিহীন ইয়াছিন আলীর ৫দিন পর মাথা উদ্ধার, মুল ঘাতক গ্রেপ্তার
--প্রেরিত ছবি

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ডোবা থেকে উদ্ধার মস্তকবিহীন ইয়াছিন আলীর ৫দিন পর মাথা উদ্ধার, মুল ঘাতক গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের একটি ডোবা থেকে চা বিক্রেতা ইয়াছিন আলীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের ৫দিনের মাথায় খন্ডিত মস্তক উদ্ধার হয়েছে।
সকালে র‌্যাব-৬ খুলনার একটি বিশেষ টিম একমাত্র ঘাতক ব্যবসায়ীক
পার্টনার ভ্যান চালক জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকান্ডের পাশের
একটি কালভার্টের নীচ থেকে সারের বস্তায় ভর্তি মস্তক ও লুঙ্গি উদ্ধার করে।
পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সামনে তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিংএ লে:
কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, পার্টনারে এলইডি
লাইটের ব্যবসা করার জন্য ঘাতক জাকির ইয়াছিনকে ২০ হাজার টাকা দেয় দেড় বছর আগে। চা বিক্রেতা ইয়াছিন আলী ব্যবসা শুরু করলে লস হওয়ায়
টাকা ফেরত চায় ঘাতক। এরই মধ্যে ৭হাজার টাকা পরিশোধ করে ইয়াছিন।
কিন্তু ভ্যান চালক জাকির বাকি টাকা আদায়ের জন্য প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে
হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং শহরের কামাল নগর বাজার থেকে দেড়শ টাকা দিয়ে একটি দা কিনে ধার দিয়ে রাখে তাকে হত্যার পরিকল্পনার জন্য।
সুযোগমত গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইয়াছিনকে রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর
কথা বলে বাইপাসে এনে সময় ক্ষেপন পূর্বক গভীর রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশটি বাইপাসের ডোবায় ফেলে দিয়ে মস্তক বস্তায় ভরে বাইপাসের আরেকটি কালভার্ট এর নীচে কাদায় পুতে রাখে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বাভাবিক থাকলেও র‌্যাব-৬ শনিবার সন্ধ্যায় আলিপুরের চাপারডাঙ্গা এলাকার বাড়ি থেকে ঘাতক জাকিরকে আটক করে খুলনায় নেয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে সে র‌্যাবের কাছে দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বর্ণনা দেয়।
এরপর সকালে জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে র‌্যাব-৬এর অধিনায়কসহ বিপুল পরিমান সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে মস্তক উদ্ধার করে। এসময় ভ্যান চালক জাকিরের ভ্যানও জব্দ করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছিল। ঘাতকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়।
র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।
এদিকে নিহত ইয়াছিনের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন জানান, আর যেন কোন
নারীর অল্প বয়সে বিধবা না হতে হয়। তিনি মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের
সাথে জড়িত ঘাতকের প্রকাশ্যে বিচার দাবী করেন। একই সাথে যথাযথ
শাস্তির দাবি করেন নিহতের জ্যেষ্ঠ কন্যা জেসমিন আক্তার ও তার জামাতা

বাদশা হোসেন। তারা জানান, আগে থেকেই বাকি ১৩ হাজার টাকা
আদায়ের জন্য নানাভাবে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল ঘাতক জাকির। ঘটনার প্রমাণও হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন তারা।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে বুধবার( ৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ইয়াসিন আলী নামের এক চা বিক্রেতার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন। ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক বিভাগ এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলেও র‌্যাব-৬ প্রকৃত ঘাতককে আটক পূর্বক বিচ্ছিন্ন মস্তক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

 

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply