Wednesday , 1 May 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সিরাজদিখানে সুদর্শন গাঙ্গুলীর পুকুরের মাছ চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী
--প্রেরিত ছবি

সিরাজদিখানে সুদর্শন গাঙ্গুলীর পুকুরের মাছ চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের গৌরিপুরা গ্রামের সুদর্শন গাঙ্গুলীর পুকুরের মাছ চুরির ঘটনায় ৭ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, আমলী আদালত নং-২, মুন্সিগঞ্জে ভুক্তভোগী সুদর্শন গাঙ্গুলীর ছেলে মিঠুন গাঙ্গুলী বাদী হয়ে গৌরিপুরা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে হায়দার আলী শেখ (৫৫) থৈরগাও গ্রামের মরন মাঝির ছেলে সোবাহান মাঝি (৫৪), দক্ষিন নন্দনকোনা গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে মো. সাইদুল (৪৫), কোলা গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৬৫), সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে বিদ্যুত মোল্লা (২৮) ও বিপ্লব মোল্লা (৩৫) এবং গৌরিপুরা গ্রামের হায়দার আলী শেখের ছেলে অন্তর শেখ (২৬)দের বিবাদী করে একটি সি,আর মামলা দায়ের করেন। যার নং-২২৩/২০। এর আগে গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাত অনুমান ২টার দিকে সুদর্শন গাঙ্গুলীর বসত বাড়ীর পাশের পুকুর থেকে ছেলে মিঠুন গাঙ্গুলীর চাষকৃত রুই, কাতল, তেলাপিয়া, কার্ফু, ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া মাছের বর্তমান বাজার মূল্য অনুমান এক লক্ষ টাকা। মামলার এজাহারে বলা হয়,  গত ৪ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে মামলার বাদী মিঠুন গাঙ্গুলী তার বসত ঘরে ঘুমিয়ে পরেন। ওই দিন দিবাগত রাত অনুমান ২টার দিকে মাছ ধরার শব্দ পেয়ে তার ঘুম ভেঙে গেলে টর্চ নিয়ে পুকুর পারে গিয়ে দেখেন আসামীরা জাল দিয়ে পুকুরের মাছ ধরে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে মামলার ১-৩ নং আসামী বাদী মিঠুন গাঙ্গুলীকে এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মাছ নিয়ে চলে যায়।  মামলার বাদী ভুক্তভোগী মিঠুন গাঙ্গুলী বলেন, এর আগে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হজম করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ  হয়ে আমাদের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়। সেই মামলায় তারা জামিনে এসে বিভিন্ন ভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ তারিখ রাত ২টার দিকে শব্দ পেয়ে পুকুর পারে গিয়ে দেখি হায়দার আলী শেখ,সোবাহান মাঝি, মো. সাইদুল, সিদ্দিক মোল্লা, বিদ্যুত মোল্লা, বিপ্লব মোল্লা, অন্তর শেখসহ আরো কয়েক জনের সহযোগীতায় পুকুরের মাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমাকে এটা নিয়ে জানাজানি কিংবা মামলা মোকদ্দমা করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মাছ নিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাই। সুষ্ঠ বিচার পেতে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়ে মামলা করি। পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত চাওয়াই কি তাহলে আমাদের অপরাধ? নাকি সম্পত্তির দাবী ছেড়ে না দেওয়া আমাদের অপরাধ? মাছ চুরির মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি। 

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply