Sunday , 28 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
৫৫৭ কোটি টাকায় সিলেটে আরো দুই গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ

৫৫৭ কোটি টাকায় সিলেটে আরো দুই গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্কঃ

দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত ২৬টি কূপ খনন করা হয়েছে। এসব কূপের মধ্যে বর্তমানে উৎপাদনরত ১২টি কূপ থেকে দৈনিক কমবেশি ৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে সিলেটে আরো দুটি নতুন গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

কূপ খননের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, গ্যাস পাওয়া গেলে প্রস্তাবিত কূপ দুটি থেকে দৈনিক প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা আংশিকভাবে পূরণ করা। কূপ দুটি থেকে প্রথম পাঁচ বছরে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা। আলোচ্য কূপ দুটির গ্যাস বিদ্যুৎ, সার কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প-কলকারখানায় সরবরাহ করা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দেশে চলমান গ্যাসসংকট মোকাবেলায় সরকার সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে সিলেটের হরিপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা, বিয়ানীবাজার ও রশিদপুরে ২৬টি গ্যাস কূপ খনন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরো দুটি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-১১ নম্বর কূপটি হরিপুর প্রসেস প্লান্ট থেকে আনুমানিক ছয় কিলোমিটার দূরত্বে এবং নিকটবর্তী সিলেট-৩ ও সিলেট-৬ নম্বর কূপ থেকে যথাক্রমে এক কিলোমিটার এবং ১.৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। হরিপুর ফিল্ডে বর্তমানে তিনটি উৎপাদনশীল কূপ (সিলেট-৭, ৮ ও ৯) থেকে দৈনিক কমবেশি ছয় মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।

সিলেট (হরিপুর) ফিল্ড থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২২৩.২৬ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে সিলেট-১১ ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপের খনন, কূপ খননের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মালামাল সংগ্রহ, তৃতীয়পক্ষীয় প্রকৌশল সেবা গ্রহণ, বৈদেশিক পরামর্শক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্নকরণ।

এদিকে সম্প্রতি সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখান থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৯ লিটার তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ওই কূপের তিনটি স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুই মাস আগে এই কূপ খনন শুরু হয়।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply