কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:- পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা ঘাট এলাকা থেকে শুরু করে দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের পোড়ারদিয়ার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। মাত্র কয়েকদিনে নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েক হাজার বিঘা ফসিলজমি। এতে চরম হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ ঘনজনবসতি।তাই বাড়ী ঘর হারানোর চিন্তুায় নির্ঘুমরাত কাটাচ্ছেন এখানে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ। দৌলতপুর উপজেলা মরিচা গ্রামের কৃষক মোসলেম জানান, গত কয়েকদিনে তার নিজস্ব ৭০ বিঘা জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। এভাবে দুই উপজেলার পদ্মাপাড়ের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকার কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি চলে গেছে নদীতে। নদী ভাঙ্গন এতোই তীব্র যে রক্ষাবাঁধের খুব কাছে চলে এসেছে নদী। ফলে শেষ সম্বল নিজেদের বসত বাড়ী বাঁচানোর জন্য নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে বাধের উপর বসবাসকারী কয়েক হাজার পরিবার। এতকিছুর পরও থেমে নেই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এবং বড়বড় নৌযানের মাধ্যমে তা বহন।এলাকাবাসী বলছে বড় বড় নৌকা নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার কারণে ভাঙন আরো তীব্র হচ্ছে। দৌলতপুরবাসী বলছে, দৌলতপুরের ৩ কিলোমিটার এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের বাড়ি ঘরও হুমকির মুখে। তারা বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে ভোড়ামারা উপজেলার রায়টা ঘাট এলাকায় রায়টা গ্রামের অর্ধেকের বেশী ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্র্র্বাহী প্রকৌশলী পিজুস কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, নদী ভাঙন তীব্র হওয়ার কারণে রক্ষাবাঁধ নিয়েই তারা চিন্তিত। তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেছেন। প্রাথমিক কোন কাজ করে এই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। ভাঙন রোধে বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয়ার জন্য প্রস্তাবনা রেখেছি পানি উন্নয়ন বোর্ড এমনটি জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।এব্যাপারে কুষ্টিয়া ১ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম সারোয়ার জাহান বাদশাহ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।