নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হাসিব হত্যা মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাসেল ওরফে শিশু রাসেল নামে এক স্থানীয় যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার চাঁদ কাশেমপুর গ্রামের খান বাড়ির সামনে মিন্টুকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত আব্দুল লতিফ মিন্টু (৪৮) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মাহবুল্লাপুর গ্রামের খান বাড়ির মৃত আবু তাহেরের ছেলে।
আটককৃত রাসেল ওরফে শিশু রাসেল (২৭) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদ কাশেমপুর গ্রামের মো. দেলোয়ারের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর ইউনিয়নের সুবহান মার্কেটের সামনে একই ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হাসিবকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করে কয়েকজন অস্ত্রধারী। এ ঘটনায় হাসিবের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ছিলেন আব্দুল লতিফ মিন্টু। মামলার প্রধান আসামি করা হয় মিন্টুর ছোট ভাই মো. হাসন এবং মিন্টুর ছেলে জয়কে (২১) মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিন মাস আগে জামিনে বের হন মিন্টু।
মিন্টুর স্ত্রী রেহানা আক্তার বলেন, দুপুর ১টার দিকে বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মিন্টু। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর আসে স্থানীয় রাসেল ও তার ভাইদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মিন্টুকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে গেছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আমরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে তার মৃত্যু হয়। বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, পুলিশ এলাকাবাসীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে আটক করেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার থাকায় কেউ মুখ খুলছে না। যার নাম পেয়েছি, সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তাই তাকে আটক করা হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কারা এবং কি কারণে মিন্টুকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে গেছে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।