Sunday , 5 May 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ

মোহনগঞ্জের উড়িয়াপট্রীতে সন্ধায় মদের হাট বসে ঃ মাদক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চাই

মোহনগঞ্জ ( নেত্রকোণা) সংবাদদাতা: নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার জনবহুল উড়িয়াপট্রী এলাকায় মদের হাট বসে। আগত মাতালদেরকে উঠতি বয়সের যুবতীরা মদ সরবরাহ করে থাকে। প্রশাসনের তদারকি চোঁখে না পড়ায় কোন তোয়াক্কা না করে দেদারছে মাদকসামগ্রী বিক্রি করছে।

উড়িয়াপট্রীর আশপাশে রয়েছে পৌরসভা, শিক্ষক সমিতির অফিস, মুক্তিযোদ্ধা অফিস, শহীদ মিনার, মোহনগঞ্জ সাধারন পাঠাগার, শহীদ আলী উসমান ময়দান সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জন্মগত ভাবে উড়িয়া পুরুষরা  নতুন জামাই বউ কে পালকি দিয়ে বহন করত। বর্তমানে পালকি প্রথা বিলুপ্তি । তাদের নিজস্ব দেশীয় মদ তৈরী করে বিক্রি করা বন্ধ হয়ে গেছে। মুন্নি রবিদাস বিভিন্ন কলাকৌশলে মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোণা সরকারি মদের দোকানের অধীনে প্রায় ৫০ টি পারমিট করে। সব পারমিটের মদ এনে পান না করে পট্রীর ভিতরে হাট বসিয়ে মদ নিবিঘ্নে বিক্রি করছে। এখানকার বসবাসরত সাবেক সাংবাদিক শ্রী রনজিত সরকার জানান, মুন্নির ৫/৬ টি ও বোনের ১ টি মেয়ের প্রকাশ্যে মদ বিক্রির অত্যাচারে অতিষ্ঠ । তারা লোকে মুখে বলে সবাই কে ম্যানেজ করেই আমরা ব্যবসা করি। ভয় কিসের? সরকারি- দোকান থেকে মদ এনে পানিসহ  বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে মিশ্রিত করে মদ বিক্রি করে। মুন্নী মদ বিক্রি করে নওহাল এলাকায় জায়গা ক্রয় করে বাসা করেছে। মুন্নী গরীব হালতে থাকলে ও কোটি টাকার মালিক। মুন্নীর মেয়ে বেশী থাকায় তার ব্যবসা জমজমাট বেশী। তারপর বোনের  যুবতী মেয়ের মদের ব্যবসা। অন্যরা ইট ভাংগা সহ অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। 
মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শনগরে মাদক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দেড়/ দুবছর আগে মাদক বিরুদ্বী সমাবেশ করে মাদক কে না বলে শ্লোগান দেয়া হয়েছিল। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। যে উপজেলায় মাদক অধিদপ্তরের ডিজি এসেছেন। সেই উপজেলা সদরের উড়িয়াপট্রীতে প্রকাশ্যে বেআইনী ভাবে যুবতীরা তাদের বাসায় ও ফেরী করে মাদক কি ভাবে বিক্রি করে। ছবির দুটি দরজা দিয়ে মাতালরা প্রবেশ করে মদ পান করে নিবিঘ্নে চলে যান।  নিরপেক্ষ ভাবে পারমিট গুলো তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মাদক অধিদপ্তরের নেত্রকোণার সহকারি পরিচালক আবু হায়দার রাসেলকে মোবাইল করলে কুশল বিনিময় করে সাংবাদিক পরিচয় জেনে চা” এর দাওয়াত দিয়ে মোবাইলটি কেটে দেন। মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, হাতে নাতে মাদকসহ রাখব বোয়াল আটক করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসন তৎপর হবে উড়িয়াপট্রীর অবৈধ বিক্রি বন্ধ হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply