Sunday , 28 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সালনা অটোস্ট্যান্ডে ফের চাঁদাবাজি
--প্রেরিত ছবি

সালনা অটোস্ট্যান্ডে ফের চাঁদাবাজি

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ ছোট ছোট গাড়ির চালকরা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে কিস্তিতে ইজিবাইক কিনে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য দিন রাত গাড়ি চালান। কেউ নিজের গচ্ছিত সম্পদ জমি বিক্রি করে ও ব্যাটারিচালিত অটোগাড়ি কিনে সংসার চালান। দ্রব্যমূল্যের যাতাকলে সংসার চালাতে যখন চালকদের হিমশিম অবস্থা তখন কতিপয় চাঁদাবাজের অত্যাচারে তাদের মরার উপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা।
অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগরের সালনা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত কয়েকমাস যাবত চাঁদা আদায় বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে ফের শুরু হয়েছে ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে অভিনব পন্থায় ৫০, ৩০ ও ২০ টাকা হারে চাঁদা আদায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সালনা বাজারের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ইজিবাইক (অটো) স্ট্যান্ড। যা নিয়ন্ত্রণে করছে নামধারী যুবলীগ নেতা কৌশিক সরকারসহ আরো কয়েকজন। ফলে নতুন করে চাঁদাবাজির কারণে বিপাকে পড়েছেন ইজিবাইক চালকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব স্ট্যান্ডে ভিন্ন ভিন্ন চাঁদা আদায় করছে একশ্রেণীর উঠতি বয়সের যুবক। ৮ সিটের ইজিবাইক থেকে দিনে ৫০ টাকা, ৫ সিটের ইজিবাইক থেকে ৩০ টাকা, আবার ৩ সিটের ইজিবাইক থেকে ২০ টাকা করে নামমাত্র একটি টোকেনের মাধ্যমে চাঁদার টাকা আদায় করা হচ্ছে। জানা গেছে, সালনা এলাকা থেকে আড়াই থেকে তিন’শত ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করে। এসব যানবাহনে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ মজলিশপুর, মিরেরগাও, জয়দেবপুর-বাসস্ট্যান্ড হয়ে শহরের মুক্তমঞ্চ, শিমুলতলীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।
ওই স্ট্যান্ডে প্রতিটি গাড়ি থেকে সিরিয়াল দেওয়ার নাম করে চাপ প্রয়োগ করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অটো চালকেরা জানান, বিগত কয়েকমাস ধরে এসব চাদাবাজি বন্ধ ছিল। শুক্রবার থেকে ব্যাটারিচালিত ছোট রিকশার জন্য ২০ টাকা, বড় অটোরিকশার জন্য হলুদ রঙের একটি টোকেন ধরিয়ে দিয়ে ৩০-৫০ টাকা চাঁদা আদায় করে স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজরা।
এভাবেই স্ট্যান্ড থেকে ব্যাটারিচালিত অটো চালকদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা তোলা হচ্ছে। চালকেরা বলছেন, স্ট্যান্ডে ঢোকা মাত্রই তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে গাড়ির ক্ষতি করা হয়। আবার নয়তো চাবি নিয়ে চলে যায়। বাধ্য হয়ে তাদেরকে দৈনিক ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। তবে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনে ১৯ ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রহিমের নাম উঠে আসলেও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যুবলীগের রাজনীতি করি, এধরনের অন্যায় কাজের সাথে জড়িত নই। কখনো এধরনের কাজের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply